৭ উইকেটে ৭৬ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শেষ করেছিল বাংলাদেশ। আজ পঞ্চম ও শেষ দিনের খেলায় দ্বিতীয় ওভারে তাইজুল ইসলামকে (০) তুলে নেন সাজিদ খান। পরের ওভারে খালেদ আহমেদকে (০) ফিরিয়েছেন শাহিন আফ্রিদি। বাংলাদেশ ৯ উইকেটে ৭৭। ফলোঅন এড়াতে চাই আরও ২৪ রান।
শেষ উইকেট জুটিতে ইবাদত হোসেনকে নিয়ে ব্যাট করছেন সাকিব। ফলোঅন এড়াতে আরও ২০ রান চাই বাংলাদেশের। সাকিব কি পারবেন?
পঞ্চম দিনের খেলা শুরুর পর মাত্র ৬ ওভার টিকল বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। যোগ হয়েছে মাত্র ১১ রান।
সাকিবকে তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে অলআউট করলেন সাজিদ খান। ৩৩ রানে ব্যাট করা সাকিব শর্ট কাভারে ক্যাচ দেন। এর মধ্য দিয়ে ৮৭ রানে অলআউট হলো বাংলাদেশ। পাকিস্তানের প্রথম ইনিংস থেকে ২১৩ রানে পিছিয়ে থেকে ফলোঅনে পড়ল বাংলাদেশ। ৪ উইকেটে ৩০০ রান তুলে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে পাকিস্তান।
পাকিস্তান বাংলাদেশকে ফলোঅন করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে
বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৫ ওভার বল করে ৪২ রানে ৮ উইকেট নিলেন অফ স্পিনার সাজিদ খান।
বাংলাদেশের মাটিতে এটি ইনিংসে দ্বিতীয় সেরা বোলিং। ২০১৪ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই ঢাকায়ই ৩৯ রানে ৮ উইকেট নেন তাইজুল ইসলাম। তবে টেস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে সাজিদের বোলিং ফিগারই সেরা (১৫–৪–৪২–৮)।
পাকিস্তানের হয়ে টেস্টে এটি চতুর্থ সেরা বোলিং। দেশটির অফ স্পিনারদের মধ্যে ইতিহাসের সেরা।
ঘরের মাঠে টেস্টে এটি (৮৭) বাংলাদেশের যৌথভাবে সর্বনিম্ন সংগ্রহের নজির। ২০০২ সালে ঢাকায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৮৭ রানে অলআউট হয়েছিল বাংলাদেশ।
২০০০ সালে অভিষেক টেস্টে ভারতের বিপক্ষে ৯১ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।
ফলোঅনে পড়ে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমেছেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার সাদমান ইসলাম ও মাহমুদুল হাসান।
বোলিংয়ের শুরু করেন শাহিন আফ্রিদি। পরের ওভারটি করেন হাসান আলী। দুই পেসার দিয়ে বোলিং শুরু করেছেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম।
প্রথম ইনিংসে ০ রানে আউট হওয়া অভিষিক্ত মাহমুদুল হাসান আলীকে চার মেরে টেস্ট ক্রিকেটে রানের খাতা খুলেছেন।
অভিষেক টেস্ট দুঃস্বপ্নই হয়ে রইল মাহমুদুল হাসানের জন্য। বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসে চতুর্থ ওভারে হাসান আলীর বলে বোল্ড হয়ে ফিরলেন এ ওপেনার। ৬ বলে ৬ রান করা মাহমুদুল প্রথম ইনিংসে ০ রানে আউট হন।
দ্বিতীয় ইনিংসে ১ উইকেটে ১২ রান তুলেছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও কি ফেরার মিছিল শুরু হলো? মাহমুদুল আউট হওয়ার চার বল পরই শাহিন আফ্রিদির বলে এলবিডব্লু হন সাদমান হোসেন (২)। ২ উইকেটে ১২ রান তুলেছে বাংলাদেশ।
নাজমুল আউট হওয়ার সাত বল পর অধিনায়ক মুমিনুল হকও আউট!
হাসান আলীর ভেতরে ঢোকানো বল ব্যাটে খেলতে পারেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক। এলবিডব্লুর আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। মুমিনুল রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারলেন না! তৃতীয় আম্পায়ারও মাঠের আম্পায়ারের সঙ্গে একমত হন। ৭ রান করে আউট হলেন মুমিনুল।
বাংলাদেশ ৩ উইকেটে ১৯ রান তুলেছে।
ফেরার মিছিল তাহলে থামেনি!
নবম ওভারে গালিতে দুই ফিল্ডার নিয়ে নাজমুল হোসেনের বিপক্ষে বোলিং শুরু করেন শাহিন আফ্রিদি। প্রথম বলেই গালিতে দাঁড়ানো ফাওয়াদ আলমের হাতে ক্যাচ তুলে আউট নাজমুল (৬)। দেখে মনে হয়েছে যেন ক্যাচ শেখালেন!
ছয়ে ব্যাটিংয়ে নেমেছেন লিটন দাস। অন্য প্রান্তে মুশফিকুর রহিম। ৪ উইকেটে ২৫ রান তুলেছে বাংলাদেশ।
২০২১ সালে টেস্টে এ পর্যন্ত মোট ১১বার ইনিংসে ৫ উইকেট পেয়েছেন পাকিস্তানের বোলাররা।
হাসান আলী একাই ইনিংসে ৫ উইকেট পেয়েছেন পাঁচবার!
শাহিন আফ্রিদি তিনবার।
নোমান আলী দুইবার।
সাজিদ খান একবার।
এ বছর টেস্টে ইনিংসে সবচেয়ে বেশিসংখ্যকবার ৫ উইকেট নিয়েছেন পাকিস্তানের বোলাররা।
You have to login to comment this post. If You are registered then Login or Sign Up