ফলিক অ্যাসিড বা ফোলেট শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি ভিটামিন। এটিকে ভিটামিন বি-৯ বলা হয়ে থাকে।
ফোলেট বা ফলিক অ্যাসিড আমাদের শরীরে সুস্থ লাল রক্ত কণিকা গঠন করে। এ ছাড়া অনাগত শিশুর বিভিন্ন জন্মগত ত্রুটির ঝুঁকি কমায়। আর শরীরে এটির অভাবের কারণে অ্যানিমিয়া হতে পারে।
চিকিৎসকদের মতে, একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন অন্তত ২০০ মাইক্রোগ্রাম ফলিক অ্যাসিড গ্রহণ করা প্রয়োজন। আর আমাদের শরীর ফলিক অ্যাসিড উৎপাদন করতে পারে না। এ কারণে বিভিন্ন সুষম খাবার থেকে ফলিক অ্যাসিড গ্রহণ করতে হয়।
এ জন্য বিভিন্ন ফলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জানুন শরীরে ফলিক অ্যাসিডের চাহিদা মেটাতে কী খাবেন—
১. ব্রকলি
ব্রকলি ক্রসিফেরি গোত্রের অন্তর্ভুক্ত একটি শীতকালীন সবজি। আমাদের দেশে এটিকে অনেকে সবুজ ফুলকপিও বলে থাকেন। ফলিক অ্যাসিডের পাশাপাশি এতে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও ফাইবার থাকে। এ ছাড়া এটি হৃদরোগ, বহুমূত্র এবং ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে। আর ব্রকলি জারণরোধী ভিটামিন এ ও সি সরবরাহ করে কোষের ক্ষতিও রোধ করতে সহায়তা করে।
২. পাতাযুক্ত সবুজ শাকসবজি
পাতাযুক্ত সবুজ শাকসবজি যেমন— বাঁধাকপি, পালংশাকসহ বিভিন্ন ধরনের শাকে ফলিক অ্যাসিড থাকে।
৩. মটরশুটি ও শিম
মটরশুটি ও শিমে ফলিক অ্যাসিড থাকে। এটি সিদ্ধ করে বা রান্নায় খাওয়া যেতে পারে।
৪. লেবুজাতীয় ফল
লেবু বা লেবুজাতীয় বিভিন্ন ফল যেমন— কমলা, বাতাবিলেবু, মাল্টা ইত্যাদিতে ফলিক অ্যাসিড থাকে।
৫. কলিজা বা লিভারের মাংশ
আমিষের মধ্যে কলিজা বা লিভারে ফলিক অ্যাসিড থাকে।
এগুলোর বাইরেও বিভিন্ন ফল যেমন— কলা, তরমুজ, টমেটো বা টমেটোর রসে ফলিক অ্যাসিড থাকে। আর মুরগির মাংস ও ডিমেও ফলিক অ্যাসিড থাকে।
তথ্যসূত্র: হেলথলাইন ডটকম, এনএইচএস ডট ইউকে
You have to login to comment this post. If You are registered then Login or Sign Up