কবি --সুব্রত ভট্টাচার্য্য(ঋক তান)
সমস্ত দুপুর ধরে নীল নীলিমায় তাকিয়ে দেখি
তুমি যাচ্ছ চলে ,অন্তহীন সব কিনারা পার হয়ে !
যখন বিকেল হবে ,রোদ পড়ে যাবে
দু-একটা উদাস ভাবনা আমায় ভাসিয়ে নিয়ে যায় দিগন্তিকায় এলো মেলো বাতাসে ---
আর বৈঠা হাতে বেয়ে চলে
স্রোতের মুখে অস্থির দোলায় মনমাঝি।
কখন যে গোধূলি মেঘ ঘনিয়ে আসে আকাশের কাছে
বাষ্পভেজা চোখের পাতায় দেখি
বাতাসে ছড়িয়ে পড়া উত্তল হাওয়ায়---
উড়ে চলে তোমার আঁচল খানি ।
ছায়ার প্রলেপ দেখবো তোমার প্রতিচ্ছায়া জুড়ে,
বিকেলের বাউলের ঘরে ফেরা উদাসীর একতারার কান্নার সুরে ।
কখনো বা ঘরময় ,ভাবি তোমাকে নিয়ে তোমার জন্য ।
যতই গন্ডি কেটে দিয়ে যাই লক্ষণ রেখায়,
দু -বাহুতে স্বপ্ন গুলোকে সাথে নিয়ে বন্দি করে --
আর যতটা বসন্ত তুমি চেয়েছিলে আমার কাছে
আমি তো পৃথিবীর আদি অন্ত থেকে এনে দিয়েছি তোমায় হাজার বসন্তকে।
আর দু-চোখ ভরা স্বপ্ন আশায় শৈল্পিক আকারে রামধনু রঙে আঁকতে চেয়েছিলাম তোমাকে নিয়ে ।
আজ সময়ের পরিবর্তনের জনসমুদ্রে দাঁড়িয়েও একা লাগে,শুন্য হতে বিষাদে ভরে ওঠে মন ,
আর শোক মিছিলের রাস্তা জুড়ে নেমে আসে শোক যন্ত্রনা
মনে পড়ে সেই অনাথ কিশোরীর অগোছালো ভাবে গলায় বৃষ্টি ঝরা গান ।
আর আদ্র, ধূসর সীমাহীন বঞ্চনার শিকারে জর্জরিত একলা নিঃসঙ্গতা ক্রমশ গ্রাস করে।
এইভাবে ঝলসে যাওয়া মায়াবী বসন্ত হারিয়ে পাগলিনীর কণ্ঠেরগান ধীরে ধীরে মিলিয়ে যায় একাকী নগরে -তোমার মাঝে আমার
বিরোহের ঘোষণার ধ্বনি-প্রতিধ্বনি ছড়িয়ে ।
আমি পারিনি পৌরুষের আস্ফালনে তোমাকে আটকাতে ,
চাইতে পারিনি কোনো উত্তর,
শুধু স্বপ্ন হারা রাতের শুকতারার মতো এখন
দুঃখগুলো ছুটে বেড়ায় পথে ঘাটে ,
আমি এখন অন্বেষণে ,
শুন্য বিষাদের অদ্ভুত মন নিয়ে
আমি ধাবিত চলমান স্রোতে -! আবহমান কাল ধরে জানতে চাই তোমার কাছে
মনিকোটায় স্মৃতির কোনায় ভর করে ---
"যার কাছে শুয়ে আছো ,তার ঠোঁটে কি মিশিয়ে দিচ্ছ "আমার নিয়ত ভালোবাসা "??
You have to login to comment this post. If You are registered then Login or Sign Up